কলেজ পরিচিতি

smwdc
সৈয়দপুর-মচমইল মহিলা ডিগ্রি কলেজ। প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ। বিভাগীয় শহর রাজশাহীর উত্তর পূর্ব কোনে রাজশাহী জেলার সর্ববৃহৎ উপজেলা বাগমারা। উপজেলার পশ্চিম প্রান্তে সৈয়দপুর এবং মচমইল গ্রামের প্রান্ত সীমা দিয়ে বয়ে যাওয়া খালপাড়ে কেশরহাট-ভবানীগঞ্জ-আত্রাই সড়ক ছুঁয়ে মনোরম পরবিশে গড়ে উঠেছে এই কলেজ। প্রতিষ্ঠাতা জনাব এস.এম.আসাদুল্লাহ্। মচমইল হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক জনাব এস.এম. আসাদুল্লাহ্ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এলাকার পিছিয়ে থাকা নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে স্থাপন করেন এই কলেজ। তাঁর এই প্রচেষ্ঠার সাথে যুক্ত হন মচমইল গ্রামের জনাব মো: আহাদ আলী সরদার, সৈয়দপুর গ্রামের জনাব মো: নছরি উদ্দিন মলিমালত এবং মো: ইসহাক আলী মলিমালত, বলিবাড়ি গ্রামের তাঁরই ছাত্র জনাব মো: আব্দুস সালাম প্রামানিক, মিজাপুর গ্রামের তাঁর আরেক ছাত্র আব্দুর রহিম শাহ্, শংকরপৈ গ্রামের মো: সাইদুর রহমানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষে মানবিক শাখায় মোট ১৭ জন ছাত্রী নিয়ে কলেজের যাত্রা শুরু। কলেজের প্রথম অধ্যক্ষের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব গ্রহন করেন জনাব এস.এম.আসাদুল্লাহ্।
১৯৯৬ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা র্বোড কলেজটি পরিদর্শন করে ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষ হতে স্বীকৃতি প্রদান করে। এরপর ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ হতে বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু হয়। প্রায় দুই একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ ২০০০ সালে এমপিওভুক্ত হয়।
সরকার প্রদত্ত ৪১২ টি বইসহ ১২০০ বই নিয়ে ছোট পরিপাটি কলেজ লাইব্রেরি চালু হয় ২০০০ সাল। বর্তমানে গ্রন্থাগারে বিভিন্ন ধরণের বই এর সংখ্যা ৪৫০০ এর অধিক। এছাড়াও রয়েছে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তযিুদ্ধ নিয়ে “বঙ্গবন্ধু-কর্ণার”। রয়েছে মচমইল গ্রামের কৃতিসন্তান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, গবেষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিক মাহমুদের গ্রন্থসমগ্র নিয়ে “ড. অনিক মাহমুদ কর্ণার”। ১০০ জন ছাত্রী একসাথে বসে পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে গ্রন্থাগার। রয়েছে ম্যাগাজিন এবং দৈনিক পত্রিকা।
smwdc
নিজস্ব অর্থায়নে এবং সরকারী অনুদানে ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতি নিয়ে কলেজ চালু রয়েছে পদার্থ বিজ্ঞান ল্যাব, জীববিজ্ঞান ল্যাব, রসায়ন ল্যাব, ভূগোল ল্যাব, মনোবিজ্ঞান ল্যাব এবং গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ল্যাব। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়রে অধীন “কম্পিউটার কাউন্সিল” এর তত্বাবধানে ২০১১ সালে কলেজে স্থাপিত হয় “কম্পিউটার ল্যাব”। ৮টি ডেস্কটপ, ১টি ল্যাপটপ এবং ১টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এবং প্রয়োজনীয় আসবাব সরবরাহ করে কম্পিউটার কাউন্সিল। ল্যাবটি ছাত্রীদের তথ্য ও প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।“তথ্য প্রযুক্তরি সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়ন লক্ষ্যে দেশের ১৫০০ (পনের শত) বেসরকারী কলেজ উন্নয়ন প্রকল্প” এর অধীনে ২০১৮ সালে কলেজ স্থাপিত হয়েছে ০৪ (চার) তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন। আধুনিক এই ভবনে রয়েছে ০৮ টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমসহ সর্বাধুনিক সুযোগ সুবধিাসহ ক্লাসরুম। রয়েছে আধুনিক স্যানটিশেন সুবিধা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
বিশেষ দিন গুলোতে ছাত্রীদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে ২০১৯ সালে স্থাপন করা হয়ছেে “স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ও উইমেন সাপোর্ট সেন্টার”। একটি পেসেন্ট বেড, একটি হুইল চেয়ার, প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়ােজনীয় সরঞ্জাম, ঔষধ, ন্যাপকিন, ব্লাডপ্রেসার মাপার মেশিন, ডায়াবেটিস মাপার মেশিন রয়েছে এই কেন্দ্রে। ছাত্রী শিক্ষকদের অবসর বিনোদনের জন্য রয়েছে ক্রীড়া কক্ষ। ক্যারাম, দাবা, টেবিল টেনিস, লুডোসহ বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলার সামগ্রী। রয়েছে ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ও ক্রিকেট খেলার ব্যবস্থা। ২০০৫ সালে কলেজ অঙ্গনে স্থাপন করা হয়েছে মসজিদ। ছাত্রী শিক্ষক এবং কর্মচারীরা এখানে নামাজ আদায় করে থাকে। ২০১৯ সালে কলেজ প্রাঙ্গনে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ “বিজয় বাংলা”। ভবিষ্যতে ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণসহ অন্যান্য সুবধিা বাড়িয়ে কলেজটিকে একটি আর্দশ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।